খেলেই পুত্রসন্তান? রামদেবের এই ওষুধের দাবি ঠিক কী?
খেলেই পুত্রসন্তান? রামদেবের
এই ওষুধের দাবি ঠিক কী?
এই ওষুধের দাবি ঠিক কী?
বাবা রামদেবকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।
কিন্তু সম্ভবত সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল
কিন্তু সম্ভবত সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল
পতঞ্জলির একটি ওষুধের নাম।
কথায় বলে, নামে কী আসে যায়। কিন্তু বাবা রামদেব বুঝেছিলেন নামেই আসে যায়। আরও ভাল করে বুঝেছিলেন, পুত্রসন্তান লাভের জন্য এখনও ভারতীয় দম্পতিদের একাংশের মনোবাসনা।
আর তাই বাজারে আনলেন ‘পুত্রজীবক বীজ’। ওষুধের মোড়কের গায়ে দাবি করা হল, এই বিজ খেলে নিয়মিত খেলে নিঃসন্তান দম্পতিরা দ্রুত সন্তানলাভ করবেন। সংস্থার ওয়েবসাইটেও বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট বিধি মেনে খেলে ভেষজ এই ওষুধ মহিলাদের ইউটেরাসের আকৃতি ঠিক করে দেয়। আর বাবা যেটা বললেন না, সেটা হল এই— ঠিক কেন এই ওযুধের নামে ‘পুত্র’ শব্দটা উল্লিখিত। পুত্রজীবক খেলে কি পুত্রসন্তান হবেই? যা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল কম হয়নি। সংসদেও এই ওষুধের নাম নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। ওষুধের নাম নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার তদন্তও করেছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুত্রজীবক বীজের নাম নিয়ে প্রবল আপত্তি তোলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যে দেশে এখনও কিছু মানুষ কন্যা সন্তানকে অভিশাপ এবং বোঝা হিসেবে গণ্য করে, কন্যাসন্তানদের প্রাণে পর্যন্ত মেরে ফেলা হয়, সেখানে সচেতনভাবে পুত্রসন্তান লাভের এই বাসনা একেবারেই অনৈতিক।

খেলেই পুত্রসন্তান?
শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাজের কাজ কিছুই হয়নি । বাবা রামদেব এবং পুত্রজীবক বীজ, দুইয়েরই জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। এবং ওই নামেই এই ওষুধটি বিক্রি হয়ে চলেছে। আর নৈতিকতার দায়ে বাবা রামদেব বা পতঞ্জলিকে দোষী করা যায় কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও বিভ্রান্ত। কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক তনবীর রেজার মতে, ‘‘এর সঙ্গে সরাসরি মেডিক্যাল এথিক্সকে যুক্ত করা যায় না। কারণ, সরাসরি কোথাও দাবি করা হচ্ছে না যে ওই ওষুধ খেলে সন্তানই হবে। বরং পণ্যের নামকরণ নিয়ে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে।’’
কিন্তু সেই প্রশ্ন আর ওঠেনি। রামদেব নিজেই বলেছেন, ‘‘এই ভেষজ বীজটিকে হিন্দি-সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় পুত্রজীবক বীজ বলেই ডাকা হয়। ফলে, নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।’’
Comments
Post a Comment